শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
পথেঘাটে বখাটের উত্যক্ত, কুপ্রস্তাব ও বিয়ের প্রস্তাবের অপমান সইতে না পেরে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নাসরিন আক্তার (১৩) নামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। আজ বুধবার (০৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের উত্তর আউরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন আক্তার ওই গ্রামের দিনমজুর মো. নাসির হাওলাদারের মেয়ে ও কাঠালিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ একই গ্রামের শাহজালাল ওরফে জালাল আকনের বখাটে ছেলে সৈকত আকন (২৬) প্রায়ই স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে নাসরিনকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করত ও খারাপ প্রস্তাব দিতো। এতে অতিষ্ট হয়ে নাসরিন ঘরের বারিন্দায় মাডামের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত নাসরিনের চাচা জহিরুল ইসলাম জানায়, প্রতিবেশী ও সরকারি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী জালাল আকনের বখাটে ছেলে- স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করেতো এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এ বিষয়টা সবাই জানতো। এ ব্যাপারে বখাটে সৈকতের অভি়ভাবকে বহুবার জানানো হয়। কিন্তু পিতা জালাল তার ছেলেকে না ফিরিয়ে বরং কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক ঘটকের মাধ্যমে নাসরিনের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠান সৈকতের বাবা জালাল আকন।
নিহত নাসরিনের মা চম্পা বেগম জানান, আমার মেয়ে নাসরিন কাঠালিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়তো। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে সৈকত আকন প্রাইয় বাজে কথা বলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করত। এ নিয়ে মেয়েটা সব সময় মানষিক ভাবে চিন্তিত থাকত। আজ বিকালে আমি আমার পিতার বাড়ী বড় কাঠালিয়া যাই, নাসরিন এ সময় ঘরে একা ছিলো। সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে এসে পিছনের বারান্দায় মাডামের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে নাসরিনকে ঝুলতে দেখতে পাই। আমার ডাক-চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (মেম্বর) নুরুল আলম মিলু জানান, সৈকত নাসরিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ডিস্টার্ব করত। ঘটনার দিন মেয়েটির মা চম্পা বেগম তার বাবার বাড়ী ছিলো। ঘর ফাঁকা পেয়ে সে আত্মহত্যা করে।
কাঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদ আলী বলেন, নাসরিনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।